Saturday, April 24, 2021

Data Input Output

গত পোষ্টে আমরা ডেটা টাইপ নিয়ে আলোচনা করেছি। আজ আমরা আলোচনা করবো ডেটা ইনপুট আউটপুট নিয়ে। কিভাবে একটা ভেরিয়েবলে ডেটা স্টোর করে রাখতে হয় এবং কিভাবে তা আউটপুট হিসেবে দেখানো যায়। আর ইনপুট নেওয়ার ক্ষেত্রেও আমাদের আগের মতো আরেকটা ছক মনে রাখছে হবে।


ডাটা টাইপ
ইনপুটের ক্যারেক্টার
integer
%d
float
%f
double
%lf
CHARACTER
%c
string
%s
big integer
%ld
very big integer
%lld

এখন কথা হচ্ছে ছকটা না হয় পড়লাম, কিন্তু এটা ব্যাবহার করবো কিভাবে? তাই না?
চলো তাহলে এবার আমরা ডেটা ইনপুট এর পদ্ধতিটা একটু দেখে নিই।
এর জন্য আমাদের ব্যবহার করতে হবে scanf() ফাংশনটি। ইনপুটের সাধারণ নিয়ম হলোঃ
    scanf('INPUT_CHARACTER', &VARIABLE_NAME);
এখানে ইনপুট ক্যারেক্টার হিসেবে আমরা যেই ধরনের ডেটা ইনপুট নিব সেই ডেটা ইনপুট ক্যারেক্টার ব্যবহার করব, আর ডেটা তো এমনি এমনি ইনপুট নেওয়া যায় না। এর জন্য অবশ্যই একটা ভেরিয়েবল নিতে হবে। আর সেই ভেরিয়েবল এর মধ্যেই আমরা আমাদের ডেটা টি স্টোর করে রাখবো।
চলো একটা উদাহরণ দেখা যাকঃ

এখানে আমরা 4 নাম্বার লাইনে আমাদের প্রয়োজনীয় ভেরিয়েবল গুলো ডিক্লেয়ার করেছি। আর 5 এবং 6 নম্বর লাইনে যথাক্রমে a এবং b এর ভ্যালু ইনপুট করেছি। এরপরের লাইনে আমরা ভ্যালু দুটো যোগ করে আউটপুট হিসেবে বের করেছি। যেমনঃ আমরা যদি কোডটাকে রান করাই তাহলে কোন কিছু দেখাবে না, কিন্তু ইনপুট নিবে। প্রথম লাইনে আমরা যদি 55 এবং দ্বিতীয় লাইনে 45 ইনপুট দিই, তাহলে পরের লাইনে আমরা আউটপুট হিসেবে 100 দেখতে পাবো;

এভাবে আমরা ইউজারের দেওয়া মান গ্রহণ করে আমাদের প্রোগ্রামে কাজে লাগাতে পারবো...
এর পরের আলোচনায় থাকছে অপারেটর সম্পর্কে।

Friday, October 19, 2018

Data Types

ডাটা টাইপ
সি প্রোগ্রামিং এর একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ডাটা টাইপ। তাই এই অধ্যায়টা একটু গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে।
প্রোগ্রামিং করার সময় আমাদেরকে ডাটা নিয়ে কাজ করতে হয়। এই ডাটা আমাদের কম্পিউটার মেমোরিতে জমা রাখতে হয় এবং তা নির্দিষ্ট ভেরিয়েবলের ভেতর রাখতে হয়। আর এই ভেরিয়েবল হচ্ছে এমন একটা জিনিস যেটা নির্দিষ্ট এক ধরনের ডাটা নিজের মধ্যে জমা রাখতে পারে। তবে একটা ভেরিয়েবল একাধিক ডাটা ধারণ করতে পারেনা, শুধু এক ধরনের ডাটাই ধারণ করে। যেমনঃ আমরা যদি একটা ভেরিয়েবলে একটা স্বাভাবিক সংখ্যা রাখতে চাই, তাহলে আমাদের একটা integer টাইপের ভেরিয়েবল নিতে হবে এবং ভেরিয়েবলটি ডিক্লেয়ার করতে হবে int হিসেবে। এরকম কিছু ডাটা টাইপ ও ভেরিয়েবল ডিক্লেয়ারের নিয়ম নিচে ছক আকারে দেওয়া হলো:
ডাটা টাইপ
ডিক্লেয়ারের সংকেত
integer
int
float
float
double
double
charecter
char
string
string
big integer
long int
very big integer
long long int

ভেরিয়েবল ডিক্লেয়ারের নিয়মঃ
Data_type variable_name = value;
example:
int number = 10;

বিশ্লেষণ:
এখানে আমরা একটা ইন্টিজার টাইপের ভেরিয়েবল নিয়েছি যার নাম নাম্বার এবং যার মান দিয়েছি ১০। আমরা এরকম কয়েকটা ভেরিয়েবল নিয়ে(ধর ২টি) সেগুলোর যোগ করার প্রোগ্রাম করতে পারি। নিচের কোডটি লক্ষ্য কর:



এই কোডটি রান করালে আউটপুট আসবে নিচের মতো:





এখানে আমরা তিনটি ভেরিয়েবল নিয়েছি a, bc । যেখানে a এর মান 50, b এর মান 60 এবং c এর মান ab এর মানের যোগফলের সমান। ৫০ ও ৬০ এর যোগফল ১১০। তাই c এর মান হবে ১১০। শেষে আমরা c এর মান printf() ফাংশনের সাহায্যে আউটপুট হিসেবে বের করেছি।
উপরের কোডটিকে আমরা এভাবেও লিখতে পারি



এই কোডটি চালালেও একই আউটপুট আসবে।
তোমাদের জন্য পরীক্ষা হলো ভেরিয়েবলগুলোর মান পরিবর্তন করে তোমরা তোমাদের প্রোগ্রাম ইচ্ছামত কোড লিখ এবং সবসময় অনুশীলন কর। এরপর আমরা ডাটা ইনপুট এর নিয়ম শিখব পরবর্তী অধ্যায়ে।

Wednesday, October 10, 2018

Hello World - First Lesson

প্রথম সি প্রোগ্রাম
হ্যালো, আমি দিব্য জ্যোতি রায়। ফিরে আসলাম সি প্রোগ্রামিং এর প্রথম প্রোগ্রাম (Hallo World) নিয়ে। সি প্রোগ্রামিং লিখতে গেলে প্রথমে সি এর কমপাইলার ডাউনলোড করতে হবে। কম্পাইলার হলো যেখানে প্রোগ্রামটি তৈরী হবে বা যে মেশিন প্রোগ্রামটি বানাবে। সি প্রোগ্রামিং এর জন্য কম্পাইলার হলো Code Blogs(http://codeblocks.org/download). কম্পাইলার টি প্রথমে ডাউনলোড করতে হবে। এরপর ইন্সটল দিতে হবে। তারপর নিউ ফাইল ক্রিয়েট করতে হবে। নতুন ফাইল তৈরির পর সেখানে নিম্নোক্ত কোডটি লিখতে হবে।
#include<stdio.h>
int main ()
{
printf (“Hello World!”);
return 0;
}
এই কোডটি কোডব্লকস এ রান করালে আউটপুট আসবে নিচের মতোঃ
বিশ্লেষণঃ
এখানে প্রথম লাইনে লেখা আছে, #include<stdio.h> এটি একটি হেডার ট্যাগ। এখানে ইনক্লুড লেখার মাধ্যমে হেডার যোগ করা হচ্ছে। এরপর <> ব্রাকেটের ভিতর হেডারের নাম লেখা হয়েছে। হেডারটি হলো stdio.h এখানে std মানে হলো স্ট্যান্ডার্ড, i মানে হলো ইনপুট, o মানে আউটপুট এবং .h দ্বারা বোঝানো হচ্ছে যে এটি একটি হেডার ফাইল। এরপরের লাইনে আমরা লিখেছি int main() এটা একটা গ্লোবাল ভেরিয়েবল যার ভিতর মেইন প্রোগ্রামটি থাকবে। সি প্রোগ্রামিংএ বড় বড় প্রোগ্রাম লিখতে গেলে অনেক সময় নানা ধরনের গ্লোবাল ভেরিয়েবল নিতে হয়। কিন্তু মেইন গ্লোবাল ভেরিয়েবলটিতে শুধু মূল কোডটি লিখতে হয়। গ্লোবাল ভেরিয়েবল নিয়ে আমরা পরে কথা বলবো। এখন গ্লোবাল ভেরিয়েবলে যদি আমাদের মূল কোডটি লিখতে হয়, তবে তো আমাদেরকে মূল গ্লোবাল ভেরিয়েবলে প্রবেশ করতে হবে। তাই না? এজন্য আমরা দ্বিতীয় বন্ধনি ব্যবহার করেছি। তো দিতীয় বন্ধনি ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা গ্লোবাল ভেরিয়েবলে প্রবেশ তো করেছ কিন্তু এখন তো আমাদেরকে মূল কোডটি লিখতে হবে। আর আমাদের প্রোগ্রামটির উদ্দেশ্য হলো আমরা হ্যালো ওয়ার্ল্ড প্রিন্ট করব। তাই কোনোকিছু প্রিন্ট করতে গেলে আমাদের লিখতে হবে, printf (); এই ফাংশনটি দ্বারা আউটপুট দেওয়া হয়। আর আমরা যদি কোনো লেখা প্রিন্ট করতে চাই তাহলে আমদেরকে লেখাটি লিখতে হবে ঐ ফাংশনের প্রথম বন্ধনির ভেতর ইনভার্টেড কমা(“”) দিয়ে তার ভেতরে। এই ইনভার্টেড কমার ভেতরে লেখা হবে তাই প্রোগ্রামটি আউটপুট দিবে। আর রিটার্নের ব্যাপারটা তোমাদেরকে আমি পরে বলবো। অবশ্য রিটার্ন ০ না দিলেও তোমাদের প্রোগ্রামটি কাজ করবে।
আজকের লেসন এ পর্যন্তই। পরের লেসনে দেখা হবে।

Saturday, October 6, 2018

Introduction For C

 

সি প্রোগ্রামিং - USD Web

a learning site

হ্যালো, আমি দিব্য জ্যোতি রায়। আমি একজন প্রোগ্রামার। আমি "জাতীয় শিশু কিশোর প্রোগ্রামিং প্রতিজোগিতা ২০১৮" তে ৩য় হয়েছি।  আমি প্রোগ্রামিং শেখাতে ভালোবাসি।  আজকে আমি সি প্রোগ্রামিং সম্পর্কে লিখছি। 
বাংলায় সি প্রোগ্রামিং থেকে কিভাবে প্রোগ্রামিং করতে হয়, কিভাবে নিজে একটা প্রোগ্রাম লিখব পাশা পাশি একটা সফটওয়ার বা প্রোগ্রাম লিখতে কি কি লাগবে, এসব সম্পর্কে জানা যাবে। আমরা  যত গুলো অটোমেটিক মেশিন দেখি, সব গুলোই এক বা একের অধিক প্রোগ্রাম দিয়ে চলে। আর প্রোগ্রামটা লেখা হয় প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ দিয়ে। প্রোগ্রামিং জানলে যে শুধু কম্পিউটারের জন্যই সফটওয়ার তৈরি করা যাবে এমন না, সব কিছুর জন্যই প্রোগ্রাম বানানো যাবে। ছোট্ট একটা ক্যালকুলেটর হতে শুরু করে রোবোট বা এয়ারক্রাফট পর্যন্ত সব কিছুর প্রোগ্রাম।

অনেক গুলো Programming Language রয়েছে শেখার জন্য। এ গুলোর মধ্যে জনপ্রিয় একটা হচ্ছে এই C Programming। আমি মনে করি যে সি ল্যাঙ্গুয়েজ দিয়েই প্রোগ্রামিং শুরু করা ভাল। কিন্তু ডেনিস রিচি (জন্ম সেপ্টেম্বর ৯, ১৯৪১ – মৃত্যু অক্টোবর ৮, ২০১১) এর ডেভেলপ করা এই সি ল্যাঙ্গুয়েজ থেকে নতুন অনেক গুলো ল্যাঙ্গুয়েজই তৈরি হয়েছে পরবর্তিতে। এ জন্য এই একটি ল্যাঙ্গুয়েজ ভালো করে শিখলে পরবর্তিতে অনেক গুলো ল্যাঙ্গুয়েজে সহজেই কোড লেখা যায়।

কম্পিউটারকে ইন্সট্রাকশন দেওয়ার প্রক্রিয়া হচ্ছে প্রোগ্রামিং।  ইন্সট্রাকশন গুলো কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে লিখতে হয়। যে নিয়ম গুলো মেনে প্রোগ্রাম লিখতে হয়, তা হচ্ছে প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ। সি শিখতে শিখতে আমাদের অনেক কিছুই শেখা হয়ে যাবে। একসময় আমরা সফটওয়ার, ওয়েব সাইট বা মোবাইল অ্যাপ, হোম অটোমেশন ইত্যাদির জন্য সফটওয়ার তৈরি করতে পারব। আর তা পারব আজ যদি আমরা শেখা শুরু করি। শেখা খুবি সহজ। যা যা লাগবে, তা হচ্ছে একটা কম্পিউটার, ইন্টারনেট আর কিছু না। বাকি গুলো ইন্টারনেট থেকেই শিখে নেওয়া যাবে। প্রোগ্রাম লেখার জন্য দরকার হচ্ছে একটা টেক্সট এডিটর বা আইডিই। এ সম্পর্কে আমি তোমাদের পরবর্তীতে জানাবো । 
 একটা প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজের কয়েকটি গুরুত্ত্বপূর্ণ টপিক্স হচ্ছে অপারেটর, স্ট্রিং এবং কারেকটার, কন্ট্রোল ফ্লো, লুপিং, ফাংশন, অ্যারে ইত্যাদি। এ অল্প কয়েকটি টপিক্স সব গুলো ল্যাঙ্গুয়েজ এর ভিত্তি। একটা ল্যাঙ্গুয়েজের এগুলো ভালো করে জানা থাকলে বাকি ল্যাঙ্গুয়েজ গুলোর জন্যও জানা সহজ হয়ে যায়। 
এরপর আমরা আমাদের প্রথম প্রোগ্রাম লেখা শিখব।

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites More

 
Design by Free WordPress Themes | Bloggerized by Lasantha - Premium Blogger Themes | Hostgator Discount Code